মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
জেলা পরিষদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের তালিকা ব্যতিত সাংবাদিকরা নির্বাচন কেন্দ্র পরির্শনের পাশ কার্ড পাবে না বলে স্পষ্ট জানালেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ।
রবিবার সন্ধ্যায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিজস্ব কার্যালয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের পাশ কার্ড বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর নিকট থেকে আমার কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে এ তালিকার বাহিরে কাউকেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিক কার্ড প্রদান করা হবে না। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যারা আমার পরিচিত সাংবাদিক এবং যাদের আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি তাদের এ পাশ কার্ড দিয়েছি।
দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাংবাদিক পাশ কার্ডের জন্য আবেদন করেছি। আমাদের সামনে অনেককেই কার্ড ইস্যু করে দিয়েছে কিন্তু আমি কার্ড চাইলে আমাকে বলেন আমি কী প্রেসক্লাবের সদস্য কী না। আমি সদস্য না থাকার কারণে এই প্রথমবার পাশ কার্ড পাইনি কিন্তু এর আগের প্রতিটা নির্বাচনেই সাংবাদিক পর্যবেক্ষক কার্ড পেয়ে দায়িত্বপালন করেছি।
মুন্সীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পোস্ট এর প্রতিনিধি মোঃ রুবেল বলেন, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। এ সময় আমিও উপস্থিত ছিলাম। যারা জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাথে জড়িত তাদেরকে যদি পাশ কার্ড না দেন তাহলে প্রশাসন একটি মহলকে প্রাধান্য দিচ্ছেন বলেই প্রতিয়মান হয়। প্রেসক্লাবের বাহিরেও মুন্সিগঞ্জ জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাব ও মুন্সিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি নামে সাংবাদিকদের দুইটি সংগঠন রয়েছে যেখানে সকলেই মিডিয়া ভুক্ত জাতীয় দৈনিকে কর্মরত অনেক সাংবাদিক রয়েছেন। সে বিষয়টিও খেয়াল করা উচিত। প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের যে বিষয়গুলো যাচাই করে এ পাশ কার্ড প্রদান করা হয়েছে প্রেসক্লাবের বাহিরেও যারা আবেদন করেছেন তাদের আবেদনেও সেই বিষয়গুলো যাচাই করে কার্ড প্রদান করতে পারতেন। যেটি প্রশাসনের বিচক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গির অভাব বলে আমরা মনে করি। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের জেলা প্রতিনিধি ও মুন্সিগঞ্জ জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন আমরা এর আগে জাতীয় ও স্থানীয় প্রতিটি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা মনে করি সহকারী রিটারিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার এ দ্বিমুখী আচরণ সংবাদকর্মীদের মাঝে দ্বিধাভুক্তি সৃষ্টি হবে। মুন্সিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটর সভাপতি হোসেনই হাসান কবির বলেন
এ ধরনের নিন্দনীয় কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার উপসচিব এনামুল হককে ঘটনার বিস্তারিত বললেও তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড ছাড়া নির্বাচন পরিদর্শনের জন্য সাংবাদিক পাশ দেওয়া হয় বলে আমার মনে হয় না।
এ বিষযে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল কল রিসিভ করেননি।