সোহারাফ হোসেন সৌরাভ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষে সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের গণমিছিল প- করে দেওয়া হয়েছে । মিছিল থেকে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ ১৬ জন জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে ৫টি ককটেল জব্দের দাবি করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও উপজেলার পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২১), একই উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আজগার আলী গাজীর ছেলে সাগর হোসেন (২৫), একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী আবু মুছা (২২), সাতক্ষীরা সদরের ঘোনা গ্রামের মোকছেদ আলী গাজীর ছেলে স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের রুকন মশিয়ার রহমান (৬০), একই গ্রামের সৈয়দ আলী গাজীর ছেলে জামায়াত কর্মী মোঃ ফজলুর রহমান (৬২),সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়ার সামছুল আলমের ছেলে জামায়াত কর্মী শফিকুল আলম(৫৫), সদর উপজেলার খলিলনগর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী সাঈদ হোসেন (১৯), একই উপজেলার কাথন্দা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী আল আমিন হোাসইন (২৩), একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী বায়েজিদ হোসেন (২২), একই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে ছাত্র শিবির কর্মী মোস্তাকিম বিল্লাহ (১৭), আব্দুল মজিদের ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী সোলাইমান হোসেন (২৩), ইমাম আলীর ছেলে জামাযাত সমর্থক মফিজুল ইসলাম (৩৫), একই উপজেলার মৃগিডাঙা গ্রামের মান্নান গাজীর ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী রাশেদ হোসেন (১৯), শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ছাত্র শিবির কর্মী জাহিদ হাসান(২২), দেবহাটা উপজেলার উত্তর কুলিয়া গ্রামের বেলায়েত আলী গাজীর ছেলে ছাত্রশিবিরের সাইফুল ইসলাম (২২) ও একই উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের গোলাম রহমানের ছেলে জামায়াত কর্মী আব্দুল হামিদ সরদার (৫৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে হঠাৎ শহরের হাটের মোড় থেকে একটি মিছিলটি বের হয়ে তুফান মোড়ের দিকে এবং মিছিলের অপর একটি অংশ সদর উপজেলার পরিষদের সামনে থেকে শুরু করে জামায়াত অফিসের দিকে যাওয়ার সময় বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশের বাধার মুখে তা পন্ড হয়ে যায়। এসময় সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বহুসংখ্যক জামায়াত- ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও সমর্থককে আটক করে পুলিশ। আটকের সময় জামায়াতের নেতা কর্মীরা সরকারবিরোধী শ্লোগান দেয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ মোঃ ফখরুল আলম খাঁন বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা শনিবার সকালে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৬ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক দোলায়ার হোসেন বাদি হয়ে সরকার উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রে ককটেল ফাটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে ১৯৭৮ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩), ২৫(ডি)তৎসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪ ও ৬ ধারায় শনিবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।