আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাইবার অপরাধ তৃণমূল মানুষের জন্য সংস্কৃতি এবং ঋতুভিক্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিলটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য, ৩১৩, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানউল্লাহ আল হাদী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামস ইসতিয়াক শোভন, ফ্রেন্ডস ড্রামেটিক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল করিম সাবু, শিল্পকলা একাডেমির সদস্য কণ্ঠশিল্পী আবু আফফান রোজবাবু, দীলরুবা রোজ, ফারহা দিবা খান সাথি, শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক শহিদুল ইসলাম, কবি শুভ্র আহমেদ, কবি পল্টু বাশার, কবি শহিদুর রহমান, কবি মনিরুজ্জামান মন্ময় মনির, কণ্ঠশিল্পী চৈতালী মুখার্জী, শ্যামল কুমার সরকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা বিষয়ক রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন, প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য লায়লা পারভিন সেঁজুতি, বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
সাইবার অপরাধ, তৃণমূল মানুষের জন্য সংস্কৃতি এবং ষড়ঋতুভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক সংগীত, একক আবৃত্তি ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
সুস্থ সাইবার সংস্কৃতির জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, দেশে সুস্থ সাইবার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করতে শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়। এর জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনসহ সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে অভিভাবকদের মধ্যে সন্তানের প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সাতক্ষীরায় সাইবার অপরাধ, তৃণমূল মানুষের জন্য সংস্কৃতি এবং ঋতুভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, এখনও অভিভাকদের এক শতাংশও ডিজিটাল ডিভাইসের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করেন না। আমরা যত বেশি ডিজিটাল হবো তত বেশি ডিজিটাল অপরাধ বাড়বে। তাই সবাইকে এখনই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, ২০১৯-২০২০ সালে দেশে সাইবার অপরাধের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সামাজিক মাধ্যমসহ অন্যান্য অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং বা তথ্য চুরি। গবেষণায় এটিএম কার্ড হ্যাকিংয়ের মতো একটি নতুন অপরাধ শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ফলে অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় অধিক মাত্রায় মানুষ অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। দেশে চার ধরনের অপরাধের মাত্রা কমেছে। অপরদিকে ছয় ধরনের অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। তবে সাইবার অপরাধে আক্রান্ত হওয়ার পরেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এই ভুক্তভোগীদের অভিযোগের হার হতাশাজনক। দেশে সাইবার সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সাইবার লিটারেসিও বাড়াতে হবে।