স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কাশেমপুর দক্ষিণপাড়া মক্তর ইসলামী ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষক মাওলানা নূর মোহাম্মাদের বিরুদ্ধে ফতেমা খাতুন (৯) নামের এক শিশুকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী শিশু কাশেমপুরের আব্দুল আজিজের মেয়ে ও স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত শিক্ষক মাওলানা নূর মোহাম্মাদ ২নং কুশখালি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আড়–য়াখালি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। ভুক্তভোগীর শিশুর বাবা ও মা জানায়, গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার মক্তবে ছুটির পর অন্যান্য সব শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরলে সেই সুযোগে মাওলানা নূর মোহাম্মাদ তাদের শিশুকন্যাকে একা ঘরে ডেকে নিয়ে তার যৌন নির্যাতন (শ্লীলতাহানির) চেষ্টা করে।
সেদিন মক্তব থেকে অনেকটা অস্বাভাবিক অবস্থায় দেরিতে বাড়ি ফেরে ফতেমা। পরে সে যৌন হয়রানীর বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়।তাদের শিশুকন্যা ফতেমাসহ এলাকার সমবয়সি শিশুরা প্রতিদিন সকালে পাশ^বর্তী মক্তবে মাওলানা নূর মোহাম্মাদের কাছে আরবি পড়তে যায়। শারীরিক ভাবে যৌন নির্যাতন (শ্লীলতাহানির) চেষ্টা করে। ঘটনাটি আশপাশের লোকজন দেখে ফেলায় এলাকায় উত্তেজিত সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের লোকজন এবং শিশুকন্যা এই ঘটনা তার পরিবারকে জানায়।
শিশুর পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বাঁধা দেয় এলাকার কিছু নেতারা ও সহযোগীরা মুল ঘটনা আড়াল করতে মেয়ের মা বাবাকে চাপ দিতে থাকে। থানায় মামলা না করতে নানা ভাবে চাপ ও হুমকি দেওয়ায় নিরীহ পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পরেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে নিজেকে বাঁচাতে অভিযুক্ত মাওলানা নূর মোহাম্মাদ উল্টো তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ ভিকটিমের পরিবারের। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
শিক্ষক নামের নরপিশাচ নূর মোহাম্মাদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভিকটিমের পরিবারসহ দলমত নির্বিশেষে এলাকার সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ।এদিকে যৌন হয়রানীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাওলনা নূর মোহাম্মাদের প্রতিবেদককে বলেন আমাকে কিছু করতে পারবেন না আপনারা। আমার কাছে অনেক বড় নেতা আছে তারা আমাকে রক্ষা করবে।