নায়িকা মৌসুমীর জামাই সাবেক নায়ক”ওমর সানি” কে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেয়ার দাবী জানানো এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র বললেন চিত্রনায়িকা?
বিস্তারিতঃ-
“ওমর সানি” আমার ছোট ভাই খুব আদরের, আমি ওরে বাংলাদেশ ফিল্মে জন্মাইতে দেখছি। এটা একটু অহংকার নিয়েই বললাম।
“ইমরান” ছিলো ওর নাম এফ-ডি-সি তে আসা, কাজ করা, সব চোখের সামনেই। যাইহোক, সে তার একটা অবস্থান করেছে, অভিনেতা হয়েছে। বাম হাতে সালাম দিতো তাই বেয়াদব ভাবতাম পরে দেখলাম না ভালো ছেলে তবে ব্যাকাতেরা বাম পাশেই চলে।
এমন কিছু অভ্যাস আমারও আছে।
ভাবি বলে সম্মান করে আমায়, আমি ভাই বলে জানি।
সম্মানে তার কমতি নেই তাই দোয়া তার জন্য চিরকাল।
তাকে আমি ভালোবাসি তার প্রমান,
সানি কোন দিন (জাতিয় চলচ্চিত্র পুরস্কার) অভিনেতা হিসেবে পেয়েছে কিনা আমি জানি না। শেষ ২০১৪ পর্যন্ত আমি জানি সে পায় নি। তা নিয়ে আমার অনেক জায়গায় আক্ষেপ ছিলো। কেনো তাকে দেয়া হয় নি? সে কি যোগ্য না, সেটা যারা দেয় তারা জানেন ভালো করে। তবে সে
রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য। সে সম্মাননা না পেয়ে থাকলে সে পাবে ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু “সানির” জীবনে সব চেয়ে বড় পরিবর্তন ও প্রভাব আসে যখন সে “মৌসুমী” কে বিয়ে করে। “মৌসুমীর” দিনের পর দিন উজ্জ্বল চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আর “সানির” ক্ষানিকটা পরে যাওয়া ক্যারিয়ার সামাল দিতে না পেরে মানসিক ভাবে দ্বিধায় পরে যায়। যার খেসারত সে মানসিক ভাবেই প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। অনেক চড়াই উতরাই পার তাকে হতে হয়েছে।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সে সেই মানসিক খেসারত বা ভালোবাসা দেখানোর জন্য নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা স্বঘোষিত মেধাবী দাবী করে বার- বার খেই হারিয়ে ফেলছে। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়
“ওমর সানি” কি ফিল্ম হিরো না মৌসুমির জামাই? সে কি অভিনেতা না বুদ্ধিজীবী? সে কি আইনজীবী না বিচারক?
নিজের কাছে সে কি বা নিজেকে সে কি ভাবে তা হয়তো সময় বলে দিবে বা প্রকাশ পাবে।
মানুষের অনেক গুন থাকতে পারে। বিচারক বা বুদ্ধিজীবী হওয়ার মতো জ্ঞান হয়তো তার বিকশিত হবে বা হচ্ছে, আস্তে আস্তে। তবে আমার কাছে সে আমার ভাই, সে একজন ফিল্ম হিরো।
এবার আসি মূল পর্বে।
সানি নব্য একটা সেক্টর বা বুদ্ধিবৃত্তিক নামকরণ করার ঝুঁকি নিয়েছেন তার জন্য সাদুবাদ।
কিভাবে এই নামকরন আসছে তার বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে “সানির” থেকে এই চিন্তা এলে তাকে বুদ্ধিজীবী খেতাব দেওয়ার দাবী জানানো যেতে পারে। কারন আমি “সানির” লেখা দেখেই এই নামকরনের সাথে পরিচিত হলাম।
যে ফিল্মে প্রিয়তমা।
প্রিয়তমা কি? এর সংজ্ঞা কি? বা কি কি ভাবে তা হয়? বা আদৌ এই নামের কোন ব্যাখ্যা আছে কি না? তা আমার জানা নেই তবে “সানির” নামকরনের ফর্দ দেখে মনে হলো ওই একই [যাহা ফাইভ তাহাই পাঁচ]।
যাইহোক, এ স্ববিচারিক প্রক্রিয়ার বিপরীত প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন আমার বন্ধু সুপারস্টার অঞ্জনা।
Anjana Rahman যে বিষয় নিয়ে রাগ করেছে বা অভিমান প্রকাশ করেছে তা নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই।
কারন এই নামকরণের ভিত্তি কতটা তা আমার জানা নেই।আর ৫০ বছর চলচ্চিত্র জীবনে আমি এই নামের অস্তিত্ব পাই নি। বা সানি হয়তো- ওই যে বললাম মানসিকতার খেসারত দেয়ার মধ্যে আছে তাই। এমন একটা চিন্তার উদ্ভব ঘটিয়েছেন।
সেটা যে যার মতো অভিব্যক্তি,মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। কে -কাকে উচ্চতর আসনে বসাবেন কাকে বসাবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
তবে আমি এই লেখায় ঘোষিতভাবে দ্বিমত প্রকাশ করার একটাই কারন। অনেক নতুন প্রজন্ম আছেন তারা সঠিক কিছু জানতে চায়, তারা ফিল্মের মানুষদের ভালোবাসে, বিশ্বাস করে তাই তাদের সঠিক কিছু জানান দেয়া জরুরী।
কে -কাকে ভালোবাসলো, কি ভাবলো তা পরের কথা তবে সঠিক জানানো জরুরী।
বা অভিনেত্রীর বাহিরে একজন মানুষ বা দর্শক হয়ে আমরাও জানতে চাই আমাদের অবস্থান আসলে কি?
এবার একটু হেডম মানে ফুটানি নিয়ে বলি।
“সানি”
বাবারে আগে জানো ফিল্মের চেইন কি? শাবানা ববিতার নাম নিয়ে পাবলিক সিম্প্যাথি নেয়া শুধু ফেইসবুকেই সীমাবদ্ধ,
এসব ফেইসবুকেই মানায় বাস্তবে মানসিক দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
আমি এখন (মান্না বা সালমান) কে ভালো বলে তোমায় গালি দিলে মানুষ বাহবা দিবে আমার সাথে তাল মিলাবে তবে তাতে আমি সাময়িক খুশি হলেও বুদ্ধিমানদের কাছে আমার ব্যক্তিত্ব ও দুর্বল মানসিকতা প্রকাশ পাবে।
(শাবানা, শবনম,ববিতা, কবরি,রোজিনা, অঞ্জনা, সুচরিতা, অলিভিয়া, সুচন্দা, চম্পা, দিতি, শাবনাজ,অঞ্জু,রোজি সিদ্দিকি, মায়া হাজারিকা, সুমিতা).. আমার কথা বাদ আমি খুব সামান্য, এদের অনেক অনেক পরের অবস্থান আমার ছোট প্রিয় আদরের বোন মৌসুমী, তার পরে বাকিদের অবস্থান।
তার চেয়ে বড় কথা তুমি যখন “সুচিত্রা সেন” কে নিয়ে আসছো, মানে কলকাতা। তাহলে তো তোমার এই চেইনে আরও মিনিমাম ১০টা নাম যুক্ত হবে, যাদের সাথে ফিম্মের সব বিশেষন যুক্ত হবে।
তাদের চিনো না হয়তো ভালো করে,বা জানা নেই।
তারপর অনেক অনেক পরে আসবে তোমার বিচারিক নাম, যদিও তোমার বিচার বা লেখা তুমি লেখতেই পারো আমি যেমন লেখলাম।
তবে তোমার এই স্বঘোষিত বিচারিক প্রক্রিয়া আমাকে আবার জানান দিলো যে তুমি মানসিক ভাবে বিপর্জের মধ্যে আছো। মৌসুমী নি:সন্দেহ গুনী অভিনেত্রী এবং সুন্দরী আমি তার ভক্ত, শাবনুর কে আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনুসরণ করি শাবনুর কোটিতে ১ জন। পুর্নিমা গুনি।
কাকে কার সাথে মিলাতে হয় তা বুঝতে হবে।
তা চেয়ে বড় কথা “মৌসুমীর” এই গুন আর ব্যক্তিত্বকে সস্তা বিচারিক প্রক্রিয়ায় বলার জন্য বলে বা লেখার জন্য লেখে বার -বার জানান দিয়ে তিতা করার এই তিতা মানসিকতা প্রকাশ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে তুমি মৌসুমীর নামটাকে তিতা বানায়ে ফেলছো।
আমি এই কথা রাগ অভিমান নিয়ে বলি নি আমি খুবই সাধারণ, সামান্য আমি কিছুই না। তবে আরও অনেক আছে যাদের নাম ভেবে চিন্তায় নিতে হয় সেই ভাবনা চিন্তার জ্ঞানের পরিধি তোমার সিমীত। যেহুতু তোমার কিছু ফেইসবুক অনুসারী আছে তারা না বুঝে সায় দেয় তাই তাদের সঠিক কিছু জানাও যেনো তারা ভুল না জানে। আর নিজে জেনে নাও। তা না হলে কর্মের ফলে কিছু দিন বছরও না তোমার নাম ভুলে যাবে। এবং মৌসুমীর অসম্মান হবে।
তোমার নাম ভুলে যাক তা আমি চাই না,মৌসুমীর উপর কারো বিরুপ ধারনা জন্মাক তাও চাইনা।
আমি তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি।
আই লাভ ইউ আমার ভাই
চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমার সানি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত।