আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় হামলা ও ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ঐ ইউপি সদস্যের নাম রাজিয়া বেগম, সে উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য। রবিবার (১২ মে) রাত ৭টায় উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কুষ্টিয়ার চক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
হয়রানি শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে জানা যায়, ঐ মহিলার নামে মামলা আছে এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ আছে। মূলত আমাদের ফাঁসাতে এই নাটক সাজিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। আমরা সবাই বয়স্ক এবং একজন ঈমাম ও আছেন। পুলিশ গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে তল্লাশি করেছে। ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছি না। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রাজিয়া বেগম বলেন, ওরা তো এখন বলবেই আমি নাটক সাজিয়েছি। নাটক সাজালে তো আরো আগে সাজাতে পারতাম। ওরা ছয়জন ছিলো, কমি, শাহজাহান, পান্নু ও খোকন বাকি দুজন আমাদের এলাকার না। ওরা আমাকে চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুশি মারছে এরপর আমার ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে গেছে। ওদের কাছে বড় বড় ছোড়া ছিলো এবং অপরিচিত একজনের কাছে পিস্তল ছিলো। ভ্যান চালক দবিরদ্দিন বলেন, আমি সামনে বসা ছিলাম, পিস্তল বা ছোড়া চাকু কিছু দেখি নাই। ছয়জনকে দেখেছি। চারজন কে চিনতে পেরেছি। একটি মোটরসাইকেল আসায় ওরা পালিয়ে গেছে।
এই বিষয়ে খোকন মওলানা বলেন, আমি আটঘর মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদের ঈমাম, ঘটনার দিন আমি মাগরিবের নামাজ পড়ে মসজিদে কোরআন তেলায়াত করে এশার নামাজ পড়ে বাড়িতে আসি এরপর খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। লোক মারফত জানতে পারি আমার নামে হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ দিয়েছে পুলিশ আমাকে খুঁজছে। আমি এই অপবাদের বিচার মহান আল্লাহ পাকের উপর ছেড়ে দিলাম এবং আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট আবেদন এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।
কমি বলেন আমি অসুস্থ ও বয়স্ক মানুষ, আমাকে দেখলে মনে হবে না আমি এমন কাজ করেছি, শেষ বয়সে এই এই অপবাদ আমি মানতে পারছি না। শাহজাহান মওলানা বলেন, আমি মসজিদের খতিব, ঐদিন আমি সন্ধার আগে আটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাই, সেখানে মাগরিবের নামাজ শেষ করে অনেক সময় পর এলাকায় এসে আমি এশার নামাজ পড়ি। কিছুক্ষণ পর আমি জানতে পারি আমার নামে হামলার অভিযোগ করেছে। শুনে আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। তাছাড়া পুলিশ ও প্রশাসনের নিকট ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের আবেদন জানাই।
এই বিষয়ে সালথা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম) বলেন, হামলা ও ছিনতাইয়ের একটা অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুলিশ তদন্ত করেছে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আরও তদন্ত হবে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।