আকাশ সাহাঃ সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
চাঞ্চল্যকর ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোসকে (৪৫) নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় আদালত থেকে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফরিদপুর-১০ র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ এর কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় র্যাব অভিযান চালিয়ে ওই দুই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের সামচু শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান শেখ ওরফে মনির (২৮) ও একই উপজেলার খাগৈর গ্রামের কাশেম মোল্যার ছেলে ছাত্তার মোল্যা (২৫)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের কোম্পানী অধিনায়ক কে এম শাইখ আকতার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মনিরুজ্জামান শেখ মলয় বোস হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ও ছাত্তার মোল্যা একই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। দীর্ঘ ১১ বছর পর তাদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
র্যাবের এ কোম্পানী অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা মলয় বোস হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত মনির ও সত্তার মলয় বোস হত্যাকান্ডের পর থেকে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল।উক্ত আসামীদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১০ (ফরিদপুর ক্যাম্প) কাজ শুরু করে ও দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর আসামী মনিরুজ্জামান ও সাত্তার মোল্ল্যাকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
প্রসঙ্গ, ২০১২ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথার আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান মলয় বোসকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।পরবর্তীতে এ ঘটনায় মলয় বোসেরর স্ত্রী ববিতা বোস বাদি হয়ে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৯, তারিখ-০৯/০২/২০১২ খ্রিঃ। অতঃপর এ মামলায় ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৯ জন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড ও ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করে।