মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আওয়ামী সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ২২ টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর লুটপাটের স্থান পরিদর্শন করেন জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গত ৮ আগষ্ট ভোর ৬ টা হতে দিনব্যাপী সংঘর্ষিত ঘটনার স্থান বুধবার ২৮ আগষ্ট বিকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর গ্রামে এ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন আওলাদ মোল্লা সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপি,জসিম উদ্দিন খান খোকন সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপি, দেলোয়ার ভূইয়া সাবেক সভাপতি সিরাজদিখান উপজেলা যুবদল,আমজাদ সাবেক যুগ্ন সাধারণত সম্পাদক সিরাজদিখান উপজেলা যুবদল, নাফিছ খান সাবেক সভাপতি সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিকদল, নজরুল ইসলাম সভাপতি সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিকদল, ফয়সাল আহমেদ সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, রাকিব মোল্লা সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, তরিকুল ইসলাম রাসেল সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, মাসুদ রানা ফাহিম সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদল,মোঃ সিহাব সভাপতি লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রদল,মোঃ ফয়সাল আলী সিনিয়র সহসভাপতি কেয়াইন ইউনিয়ন ছাত্রদল, ইদরান শেখ সাধারণ সম্পাদক কেয়াইন ইউনিয়ন ছাত্রদল, মো: বাবু যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিকদল,মো: নবী সভাপতি কেয়াইন ইউনিয়ন শ্রমিকদল, রাকিব হোসেন সাহিন সহসভাপতি লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রদল।
উল্লেখ্য সিরাজদিখান-বালুচর মেইন সড়ক হতে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর ব্রিজের ঢালে হাজী মার্কেট সংলগ্ন জয়নাল মিয়ার বাড়ি থেকে কাদির সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার ইট বিছানো কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার মানুষ চলাচল করে আসছে। গত ২৪ জুলাই রাতে সে রাস্তায় অটোরিকশা চলাচলের কারনে রাস্তায় লাগোয়া মৃত হাজী চান মিয়ার ছেলে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ নুরু হেনার পাক ঘরের সমস্যা হয়।সমস্যার কারনে নুরু হেনার স্ত্রী হেনা বংশের মৃত আমির হোসেন হেনার ছেলে হাবিবুল্লাহ হেনা ও সাফায়েত উল্লা হেনা সহ কয়েক জনকে ডেকে নিয়ে রাস্তার মাঝের ইট সড়িয়ে পিলার স্থাপন করে হাবিবুল্লাহ হেনা ভুক্তভোগী সুলতান সিকদার সহ কয়েক পরিবারের লোকজনকে এ পিলার সরালে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন।এতে ভুক্তভোগীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।পিলার সরানোর বিষয়ে বিএনপির নেতা আনিছ বেপারী ও লতব্দী ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো: আনোয়ার হোসেন মাদবর মীমাংসার চেষ্টা করেন।
২৫ জুলাই সকালে হাজী মার্কেটে এবিষয়ে আলী হোসেন মোল্লার সাথে আগে থেকে জড়ো হওয়া হাবিবুল্লাহ গংদের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এ-সময় আলী হোসেন মোল্লার সাথে নুর হোসেন বেপারী যোগ হয় হাবিবুল্লাহ গং হামলার উদ্দেশ্যে আলী হোসেনদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এরই জেরে ৮ আগষ্ট ভোর ৬ টা হতে দিনব্যাপী সংঘর্ষে ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে।