জয়ন্ত সাহা যতন গাইবান্ধা; গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের শাহাবাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সিনিয়র শিক্ষক মইনুল ইসলাম বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকা কালে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন জমা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষককের লোকজন গাড়ি কেড়ে নেন, যা আজও পাইনি। এছাড়াও বামনডাঙ্গায় আটকে অনেক কাগজে স্বাক্ষর নেয় বর্তমান প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার পারভীনের লোকজন।পরে আরেকজনকে ভারপ্রাপ্ত বানিয়ে নিয়োগ নেন ফাতেমা।
উপস্থিত অধিকাংশই সাবেক শিক্ষার্থী জানিয়ে অপর এক সিনিয়র শিক্ষক বলেন, আসলে আজকের এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
প্রধান শিক্ষকের কারণে আজ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে স্কুলে এখন সিক্স থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী আসে জানিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রাসেল বলেন, আমাকে একটি ট্যাব দেওয়া হয়েছিল। পরে কয়েকমাস আগে তা আবার নিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। আমি নিজে ও আমার মা ফোনে তার কাছে ট্যাবটা ফেরত চাইলে তিনি আমার মাকে অপমানজনক কথা বলেন। অবশেষে স্কুলে না এসে তিনি বাড়িতে ডেকে নিয়ে আমাকে ট্যাবটা দেন। যা এ কয়েকমাস কেউ ব্যবহার করেছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
উল্লেখ্য এর আগে, ‘চাকরির প্রলোভনে আবারও লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেন সেই প্রধান শিক্ষক এবং স্কুলের ৬টি সেমি পাকা রুমের ৫টিই ভেঙে নিয়ে গেলেন প্রধান শিক্ষক ফাতেমা আক্তার পারভীন’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও অদ্যাবধি সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার ফলশ্রুতিতে আজকের এই মানববন্ধন করছেন বলে জানান শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শাহাবাজ স্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধনের বিষয়টি জানা নেই। তবে কোনো প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।