শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমরা জাতি হিসেবে আজ লজ্জিত কালিগঞ্জে লিমা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নারী শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে উঠান বৈঠক বকশীগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় পৌর সচিবের বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র সহ তিনজনের সংবাদ সম্মেলন বকশীগঞ্জে সিরাতুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:): জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত । মুন্সীগঞ্জে মিরকাদিম ছাত্রদল নেতা কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত করলেন – জসীমউদ্দিন স্বপ্ন পূরণ যুব ফাউন্ডেশনের নতুন সদস্য বরণ ও সেরা সদস্যদের মাঝে সম্মননা ক্রেস্ট বিতরণ ২০২৪ইং বকশীগঞ্জ পৌর সচিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন কালিগঞ্জে বর্তমান চেয়াম্যানের বাড়ি জ্বালানোয় মামলা করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান  বকশীগঞ্জে পুলিশ সদস্য ও তার ভাইয়ের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

স্কুল খোলা,শিক্ষক নেই,ক্লাসে শিক্ষার্থীরা খেলছে

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩
  • ১২৬ বার পঠিত

আরিফুল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল কালিবাড়ি নিগামানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উদাসীনতায় স্কুল এর শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা। সরকার যেখানে শিক্ষা খাতে বিপুল পরিমানে অর্থ দিচ্ছে শিক্ষার মান উন্নয়নে। সেখানে এই স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা।৬ জন শিক্ষকের মধ্যে তিনজন না থাকায় একটি শ্রেনী কক্ষ ছাড়া অপর দুটিতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পরিবর্তে হাততালি দিয়ে খেলছিলো।

বিশ্বস্থ ও নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায় সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কুরুল কালী বাড়ির নিগামানন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক মিনারা বেগম ও লাইজু বেগম খেয়াল খুশিমত বিদ্যালয় থেকে চলে যান। বিশ্বস্ত সুত্রে পাওয়া সংবাদে সরোজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতাও মিলেছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন সদর উপজেলা অফিসে গিয়েছেন । অপর দু’জন শিক্ষিকার একজন বেতন উত্তোলন ও অপরজন স্বজনের অসুস্থতার কথা বলে বাসায় চলে গিয়েছেন। বাকী তিনজন শিক্ষকের মধ্যে শুধুমাত্র একজন আব্দুস সালামকে শ্রেণিকক্ষে পাওয়া গেছে অপর দুজনকে বারান্দায় অভিভাবকসহ খোস গল্প করতে দেখা যায়। পঞ্চম শ্রেণির কক্ষে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা হাততালি দিয়ে খেলছিল এবং উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি করেছিল। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় লাইজু নামের এক শিক্ষিকা দুপুরের পরেই চলে গেছেন। এখন ষষ্ঠ প্রিয়ডের ক্লাস আব্দুস সালাম স্যার এসে কথা বলে অন্য ক্লাসে চলে গেছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের রুমে গিয়ে দেখা যায় কোন শিক্ষক সেখানে না থাকলেও সিলিং ফ্যান ফুল স্পিডে ঘুড়ছিল এবং লাইট জ্বালানো অবস্থায় ছিল।

বিষয়টি সত্যতার জন্য স্কুলের শিক্ষিকা মিনারা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে জানান তিনি সময় মত চলে গেছেন, আগামী রোববার স্কুলে গিয়ে জানাবেন। অপরদিকে লাইজু বেগমের মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নিলুফা ইয়াসমিন জানান আমি ওই শিক্ষিকা (মিনারা বেগমকে ) যেতে নিষেধ করলেও তিনি বিদ্যালয় থেকে চলে যান। তার স্বামী বিদ্যালয়ের কমিটিতে আছেন এবং দাতা সদস্য। তিনি স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রায় সময়েই এমনটি করে থাকেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছি। সংবাদ করার প্রয়োজন নেই প্রয়োজনে আমি বিষয়টি এবারের মত দেখি।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় জেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে প্রতিবেদন দিতে বলব এতে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। আপনারা নিশ্চয় সংবাদ পরিবেশন করবেন।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।