হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মোহাম্মদ সোলাইমান
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে এম্বুলেন্সের চালক না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। জরুরি সেবা নিতে আসা কোনো রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে এম্বুলেন্স সেবা পাচ্ছেন না। উচ্চমূল্যে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি এম্বুলেন্স বা অন্যান্য ভাড়া গাড়ির দিকে। ভুক্তভোগী সুমন বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, তার মায়ের বুকের ব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। মাকে এম্বুলেন্সে নিতে চাইলে কর্তৃপক্ষ চালক নেই বলে জানান। পরে বাধ্য হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্সযোগে মাকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। এতে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
এদিকে সরকারি এম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় সুযোগ নিচ্ছে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স। তারা সরকারি এম্বুলেন্সের চাইতে কয়েকগুণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক সময় তাও পাওয়া যায় না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।
সরজমিন দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দু’টি এম্বুলেন্স তালাবন্দি।
নষ্ট হওয়ার কারণে এম্বুলেন্স দু’টি তালাবদ্ধ থাকলেও কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি একটি নতুন এম্বুলেন্স স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপহার দেন। এরপর নতুন এম্বুলেন্সের চালক না থাকায় তিনি বলেন, রোগীর স্বার্থে আপাতত একজন চালকের ব্যবস্থা করে হাসপাতালের ফান্ড থেকে বেতন দেয়া হোক। এত তাড়াতাড়ি গাড়ি নষ্ট হয় কীভাবে? আমার গাড়ি তো বিশ বছর ধরে চলছে। হাটহাজারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুরজিত দত্ত বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে চালক অবসর নিলে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। আপাতত একজন চালক আমাদের আছে। তাকে দিয়ে কাজ চলছে। এম্বুলেন্স চালক নিয়োগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানিয়েছি। দুই, এক দিনের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। আশা করি খুব শিগগিরই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স একজন দক্ষ এম্বুলেন্স চালক পাবে।