মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলায় উওর ঘিওরে ইছামতি নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ও নদী শাসন চলেলও থামছেনা ড্রেজার দিয়ে বালুমাটি উত্তোলনের কাজ। নদী ভাঙ্গনের কারণে নদীগর্ভে চলে গেছে অনেক বাড়িঘর সহ কৃষিজমি। ড্রেজার বন্ধে বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক অভিযান চললেও পরবর্তীতে আবারো শুরু হয় ড্রেজিং এর কাজ। জেলার ঘিওর উপজেলা শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারে মাটি ভরাট করতে উত্তর ঘিওর ইছামতি নদীতে একযোগে তিনটি ড্রেজার বসিয়ে বালুমাটি উত্তোলন করছে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা। পাশেই প্রায় ২০০ গজ পশ্চিমে অবস্থিয় নব-নির্মিত আরিচা-ঘিওর-টাংগাইল চলাচল করার জন্য আঞ্চলিক মহাসড়কে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ঘিওর সেতু। সেতুর সাথেই নিচে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক সৌর শক্তি চালিত এল এল পি পাম্প হাউস। পূর্ব পাশে প্রায় ৫০০ গজ দূরে রয়েছে বতর্মান সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিনে নির্মিত অনেক গুলো পাকা ঘর । ড্রেজিং এর কারণে নদীর পাড় ভেঙ্গে যে কোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ঘর ও জায়গা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,উত্তর ঘিওরে ইছামতি নদীতে চলমান ড্রেজারের মালিক রনি, বাতেন ও রুবেল নামক ৩ ব্যক্তি। তারা তিনজনে একযোগে ড্রেজারের ব্যবসা করে চলছে। তবে, রনি ও বাতেনের সাথে মুঠোফোনে ড্রেজিং এর বিষয়ে কথা বললে তারা অস্বীকার করে বলেন, ড্রেজিং এর সাথে আমরা নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি ড্রেজার একযোগে চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বসবাসকারি ভুক্তভোগী জনসাধারণ বলেন, নদীতে এভাবে অবাধে ড্রেজার চলেল আমাদের বাড়িঘর নদীগর্ভে অচিরেই যে কোন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে। তবে এদের বিরুদ্ধে কথা বলেল আমাদের কে জেল ও মারপিটের ভয় দেখায় সেই সাথে তারা বলে বেড়ায় এটা সরকারি প্রকল্পের কাজ চলছে আমাদের কিছুই করার নাই।ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হামিদুর রহমানের কাছে মোঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে অভিযান করা হয়েছিলো। আমার জানামতে ড্রেজার বন্ধ। আবারও যদি চলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।