শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কালিগঞ্জে বালু ব্যবসায়ীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্বভার হস্তান্তর তাহিরপুর সীমান্তে জামাতের জনশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে অপরাধ দমনে ১০০টি মোটরসাইকেল প্যাট্রোলিং গাজীপুরে এক সাংবাদিককে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে তদন্তের নির্দেশনা আইজিপি’র  ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস্ কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত  ছাদখোলা বাসে বাফুফে গমন চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলারদের  রাস্তা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার পিপি নিযুক্ত হলেন

গাজীপুরে এক সাংবাদিককে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে তদন্তের নির্দেশনা আইজিপি’র 

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮ বার পঠিত

সুরুজ্জামান রাসেল, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

গাজীপুরে দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ আনোয়ার হোসেনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মেট্টোপলিটন সদর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিম ও এসআই আবু ছাঈদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি।

গত রবিবার (১৯মে ২০২৪) সন্ধ্যায় আনোয়ার সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য রাজেন্দ্রপুর হোটেল এক্সে যায়। ঐসংবাদিকের তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত তারিখের কয়েকদিন পূর্বে হোটেল এক্সসহ আরও কয়েকটি হোটেলকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকার মাটি বিক্রেতা আইনুদ্দিন ও রাজেন্দ্রপুর এলাকার মাসুমের স্ত্রী মাহমুদা তাদের নিজস্ব বাহিনীর ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আনোয়ারকে জোরপূর্বক আটক করে মাহমুদার হুকুমে আনোয়ারকে ধরে গজারী বনে নিয়ে গিয়ে মারধর করতে থাকে। তখন প্রতক্ষদর্শী শ্রী সৌরভ মজুমদার ৯৯৯ ফোন করে এই বিষয়ে জানালে তাৎক্ষণিক সদর থানার এসআই আবু ছাঈদ সাদা রংয়ের নোয়া গাড়ি দিয়ে আসে। জঙ্গল থেকে আনোয়ারকে উদ্ধার করে। আনোয়ার ও মাহমুদাকে পুলিশের গাড়িতে করে সদর থানায় নিয়ে যায়।

ইতিপূর্বে সদর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ রাফিউল করিমের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার এবং আনোয়ারের স্ত্রী নারী পুলিশ কনস্টেবল রুবিনার সাথে সাংসারিক জীবনে বনিবনা না হওয়ায় পূর্ব থেকেই আনোয়ারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। পুলিশ মাহমুদা ও আনোয়ারকে থানায় নিয়ে আসার পর পুলিশ আনোয়ারকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করে। আনোয়ারের শারীরিক পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় পুলিশ গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ঐদিন রাতেই সদর থানার পুলিশের যোগসাজশে মাহমুদার স্বামী মাসুমের গাড়ির কাউন্টারের সুপারভাইজার ইব্রাহীমকে বাদী করে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে চাঁদা বাজি মামলা রুজু করে। পুলিশ এমামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদনসহ আনোয়ারকে কোর্টে সোপর্দ করে।

এঘটনায় গত শনিবার (১২ অক্টোবর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ৪৪.০১.০০০০.১০১.৩৯.০৩৩.২৪/৩৮৭০ নং স্মারকে উক্ত চাঁদা বাজির মিথ্যা মামলা রুজু করার অভিযোগে সদর থানার সাবেক ওসি ও এসআই এর বিরদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছেন।

এঘটনায় ৯৯৯’এর সংবাদ দাতা শ্রী সৌরভ মজুমদার বলেন, গত রবিবার (১৯মে ২০২৪) সন্ধ্যার পর আইনুদ্দিন ও মাহমুদার বাহিনীর সদস্যরা আনোয়ারকে জঙ্গলে ধরে নিয়ে মারধোর করতে থাকে। তখন আমি ৯৯৯’এ ফোন দিয়ে জানালে পুলিশ এসে গজারী বন থেকে আনোয়ারকে উদ্ধার করে। মাহমুদা ও আনোয়ারকে এসআই আবু ছাঈদ থানায় নিয়ে যায়। আমি ৯৯৯ ফোন করায় পুলিশের এসআই আবু ছাঈদ আমার বাড়ীতে গিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী প্রদান করিতেছে।

এবিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাজির আহমেদ জানান, উক্ত বিষয়ে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাদত হোসেন সুমা অনুসন্ধান করছেন। যা বর্তমানে তদন্তাধীন।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।