মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন: ৩ আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড হলিউডের Rags to Riches মু‌ভি‌তে মুন্সীগ‌ঞ্জের আর পি রুবেল জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাক) এর মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি হাসেম  জুলাই বিপ্লবের অন্যতম কারিগর জাজাকাল্লাহ সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎ  মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে  বনভোজন  অনুষ্ঠিত । ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সহকারীদের মানববন্ধন  মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চরকেওয়ারে‎ শ্রীনগর থানা পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন সাইদুর রহমান ফকির । মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত

সমুদ্রের করাল গ্রাসে প্রতিনিয়ত শোভা হারাচ্ছে কুয়াকাটার ঝাউবন

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ৩৭৯ বার পঠিত

মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ

সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি হিসেবে পরিচিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বছরের ১২ মাসই এ সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আগত এসব পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম স্পট ঝাউবন। কিন্তু সমুদ্রের করাল গ্রাসে প্রতিনিয়ত সাগর গর্ভে বিলীন হচ্ছে এই ঝাউবন। তাই সবুজ বেষ্টনী খ্যাত ঝাউবন রক্ষায় সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

জেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সৈকতের ২৩০ হেক্টর জমিতে তারা ঝাউ গাছের চারা রোপন করেছেন। এতে সৈকতে সবুজ বেষ্টনী তৈরী হয়। সবুজের সমারোহে সৈকতে এক মনোরম দৃশ্য ফুটে ওঠে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের ঝাপটায় শুরু হয় বালুক্ষয়। আর এ অব্যাহত বালুক্ষয়ে ভাঙতে শুরু করে ঝাউবন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সমুদ্রের অস্বাভাবিক ঢেউয়ের কারণে ইতোমধ্যে সাগর গর্ভে দুই তৃতীয়াংশ ঝাউবন বিলীন হয়ে গেছে। সৈকতের বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে মরা ঝাউ গাছ। ঝাউবন পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে ধ্বংস স্তুপের। এতে সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে। এভাবে সারি সারি গাছ পড়ে থাকায় পর্যটকদের চলাচলে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে না পরলে আগামী এক বছরের মধ্যে সৈকতের পুরো ঝাউবন সমুদ্রে বিলীনের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

খুলনা থেকে আগত পর্যটক মোশারেফ-রহিমা দম্পত্তি জানান, কুয়াকাটার সব পর্যটন স্পটই আমাদের ভালো লেগেছে। তবে ঝাউবন পয়েন্টে সারি সারি গাছ পড়ে আছে। যেটা দেখতে আমাদের মোটেও ভালো লাগেনি। দেখে মনে হয়েছে এটি একটি ধ্বংসস্তূপ।

যশোর থেকে আসা পর্যটক সেলিম শেখ বলেন, ‘আমরা ৫ বন্ধু মিলে কুয়াকাটয় এসে গঙ্গামতি পয়েন্টে মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে যাই। কিন্তু সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মরা গাছ পরে থাকায় আমাদের যেতে আসতে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

ঝাউবন পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব রাজ্জাক মিয়া বলেন, ‘২০ বছর আগে এখান থেকে আরো ২ কিলোমিটার হেটে পর্যটকরা সৈকতের ঢেউ উপভোগ করতো। এখানে বিশাল ঝাউবন ছিলো। কিন্তু এখন ভাঙতে ভাঙতে সমুদ্র বলতে গেলে একেবারে বেড়িবাঁধের কাছে চলে এসেছে।

একই এলাকার অপর বাসিন্দা রিয়াজ গাজী বলেন, ‘আমরা যারা বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করি তারা অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে আমাদেরও ঘর বাড়ি সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঝাউবন বিলীন হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সৈকতের স্থিতিশীল স্থানে আরো ঝাউ গাছ রোপণের পরিকল্পলনা গ্রহণ করা হয়েছে। সৈকতে পড়ে থাকা ঝাউগাছ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।