শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জিয়া নাগরিক ফোরাম (জিনাক) এর মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি হাসেম  জুলাই বিপ্লবের অন্যতম কারিগর জাজাকাল্লাহ সাথে দৈনিক মুন্সিগঞ্জের বার্তার সম্পাদকের সৌজন্য সাক্ষাৎ  মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে  বনভোজন  অনুষ্ঠিত । ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জ আইনজীবী সহকারীদের মানববন্ধন  মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা চরকেওয়ারে‎ শ্রীনগর থানা পরিদর্শনে মুন্সীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গাজী দেলোয়ার হোসেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা  জানিয়েছেন সাইদুর রহমান ফকির । মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নান উৎসব পালিত মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দুই নেতাকে জড়িয়ে অপপ্রচারের চেষ্টা সিরাজদিখানে প্রবাসী পরিবারের ওপর হামলা, টাকা-স্বর্ন লুট, শ্লীলতাহানির অভিযোগ

নান্দাইলে অনৈতিককান্ডে তরুণের সাথে নারীর রাতে বিয়ে,সকালে তালাক

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ৩৫৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ 

ময়মনসিংহের নান্দাইলে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক তরুণের সাথে এক নারীর জোরপূর্বক রাতেই বিয়ে দেওয়া হয়। অতপর সকালে পৌনে ছয় লাখ টাকা আদায় করে ওই নারীর সাথে তরুণের তালাকপত্র নিবন্ধন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নে দত্তপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এক ভিক্ষাভিত্তি নারীর মেয়ে (৪০) এর সঙ্গে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ওই তরুণের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগঢুলা ইউনিয়নের নাউড়ি গ্রামে। স্থানীয় বাজারে ওই তরুনের চশমার দোকান রয়েছে। এক চক্ষু চিকিৎসক সপ্তাহে তাঁর দোকানে রোগী দেখেন। যে নারীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয় তিনি মায়ের সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। বর্তমানে সে স্বামী পরিত্যক্তা। তাঁর এক পুত্রসন্তান রয়েছে। ওই নারীর চোখে সমস্যার কারণে গত শুক্রবার রাতে চিকিৎসক না পেয়ে ওই তরুণকে বাড়িতে ডাকা হয়। তিনি সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হাজির হন স্থানীয় ইউপি সদস্য মিলন মিয়া। অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে ওই তরুণের কাছে তিনি টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় জোর করে রাতেই ১০ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে তাঁদের বিয়ে পড়িয়ে দেন। মীমাংসার কথা বলে পর দিন সকালে তরুণের পরিবারের কাছ থেকে পৌনে ৬ লাখ টাকা আদায় করেন মিলন মিয়া। এরপরই তালাক নিবন্ধন করানো হয়। উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন মায়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন ইউপি মেম্বার মিলন মিয়ার কথায় তিনি এ বিয়ে পড়িয়েছিলেন এবং তালাকপত্রও নিবন্ধন করেন। তবে ওই নারীকে হাতেগুজে কিছু টাকা দিয়ে আপাতত এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। ফলে ওই ঘটনার পর থেকে ওই নারী ও তাঁর মেয়েকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে স্থানীয়রা জানান, ওই নারী শফিকুলের দোকানে মাঝেমধ্যে ভিক্ষা করতে যেতেন। তাঁর মায়ের চোখের সমস্যা ছিল। এ কারণে খবর পাঠিয়ে শুক্রবার রাতে তাঁকে বাড়িতে ডাকেন। সেখানে যাওয়ার পর ইউপি সদস্য মিলন মিয়ার নেতৃত্বে একটি দল শফিকুলকে আটক করে। এরপর এসব ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার রাতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছিল কিন্তু পুলিশ আসেনি। ওই ইউপি সদস্য মিলন মিয়া বলেন, ‘ওই তরুণ অসামাজিক কাজ করতে এসেছিল। বিষয়টি শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে যাই। তারপর স্থানীয়রা মিলে তাদেরকে বিয়ে পড়িয়ে দেয়।’ অন্যায় করলে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান জানে, তারা চেয়ারম্যানের আত্মাীয়। তবে ’এ বিষয়ে মোয়াজ্জেমপুর ইউপির চেয়ারম্যান তাসলিমা আক্তার বলেন, মেম্বার আমাকে কিছুই বলেনি। বিষয়টি আমি শুনেছি। মানুষকে ফাঁদে ফেলে এভাবে টাকা আদায় করা ঠিক নয়। ঘটনার দিন দায়িত্বে থাকা নান্দাইল মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই রাতে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে তার আগেই ইউপি সদস্য মিলন ফোন করে বলেন, পুলিশ পাঠানোর দরকার নেই। বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।